দুই দিন থেকে তালা বন্ধ দুল্লভছড়া আইসিডিএস প্রকল্প, কর্মীর অভাব বললেন, সিডিপিও।
রসসিন্ধু ভট্টাচার্য, নিভিয়া, ৬ অক্টোবরঃ কর্ম সংস্কৃতি লাঠে উঠেছে করিমগঞ্জ সমাজ কল্যাণ বিভাগের অধিনস্ত রাতাবাড়ি কেন্দ্রের দুল্লভছড়া আইসিডিএস প্রকল্প। টানা দুই দিন থেকে ওই আইসিডিএস প্রকল্পের কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। এতে চুড়ান্ত অব্যবস্হার সামনা করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন কাজে বা কোন অভিযোগ নিয়ে গিয়ে থাকেন ওই কার্যালয়ে। বস্তুত দির্ঘ বছর থেকে দুল্লভছড়া আইসিডিএস প্রকল্পে স্হায়ী কোন সিডিপিও দায়িত্বে না থাকায় কখনও সার্কেল অফিসার তো কখনও কোন বিডিও কে ভার প্রাপ্ত সিডিপিও-র দায়িত্ব হস্তান্তর করাতে সংঘটিত হচ্ছে অব্যবস্হা। কারণ ভার প্রাপ্তরা নিজ বিভাগের দায়িত্ব পালন করে বাড়তি দায়িত্ব পালনে কিছুটা বেগ পেতে হয়। ফলে সুযোগ বুঝে যেমন প্রকল্পের সুভারভাইজার রা অফিস কামাই করেন ঠিক তেমনি করণিকও। এতে গ্রামাঞ্চলে থাকা সিংহ ভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলোও ওয়ার্কার ও সহায়িকারাও কেন্দ্র মুখি হননা বলে অভিযোগ নুতন নয়। অন্যদিকে দক্ষিণ দুল্লভছড়ার একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কোন স্হায়ী ভবন নাথাকায় দায়িত্ব প্রাপ্তরা ঘরে বসেই মাইনে গুনছেন এবং আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন শিশু খাদ্য সহ নানা সামগ্রী। আর যে গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর ও অবস্থা করুণ দায়িত্ব প্রাপ্তদের গরহাজিরিতে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার ও বুধবার কোন সরকারি ছুটি না থাকলেও তালা ঝুলছে দুল্লভছড়া
আইসিডিএস প্রকল্পে বলে অভিযোগ আসলে সত্যতা যাচাইয়ের স্বার্থ বুধবার দুভল্লছড়া গিয়ে দেখা যায় টিকই কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। বিনা কোন ছুটির দিন ছাড়াও কার্যালয় বন্ধ কেন জানতে করিমগঞ্জ সমাজ কল্যাণ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দেবাশিস মালাকার নামের জনৈক কর্তা জানান দুল্লভছড়া শিশু প্রকল্পে কোন কর্মী নেই । জেলা সদর থেকে একজন পাহারাদার কে দুল্লভছড়া প্রেরণ করা হয়েছে নিত্যদিন কার্যালয় খুলে রাখার জন্য। হয়ত কোন কারণে ওই ব্যক্তি কার্যালয়ে যাননি বলেই বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে ওই প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত সিডিপিও সঞ্জু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন খোঁজ নিয়ে দেখছেন। সামান্য পরে আবার আধিকারীক সঞ্জু দাস প্রতিবেদক কে ফোন করে বলেন দুল্লভছড়া ব্লকের ঠিলাতে বিভাগীয় যে কার্যালয় রয়েছে সেখানে এখন কোন কর্মী থাকেন না, ঠিলার নিচে থাকা নুতন কার্যালয়টি খোলা রয়েছে এবং একজন কর্মীও বসে রয়েছেন। তৎক্ষণিক ভাবে ঠিলার নিছে থাকা কার্যালয়ে এসে দেখা যায় সেখানে ও দুই দরজায় দুইটি তালা ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুনরায় অবগত করানো হয় আধিকারীক সঞ্জু দাসকে। কিছুক্ষণ পরেই গাড়ি নিয়ে যথাস্থানে পৌছেন রানা বারই নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে দুল্লভছড়া প্রকল্পের করণিক বলে পরিচয় দিয়ে বলেন মঙ্গলবার অসুস্থ থাকায় তিনি কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন যদিও বুধবার অফিসেই ছিলেন এবং উপস্থিতি রেজিস্টারে তার সহিও দেওয়া রয়েছে । কিন্তু অফিসের বিশেষ কাজে থাকে অফিস বন্ধ রেখে কম্পিউটার দোখানে যেত হয়েছে বলেই কার্যালয়ে তালা ছিল। রানা বারই জানান ওই কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আসরফ উদ্দিন অফিসের কাজে গৌহাটি রয়েছেন বলেই তাকেই অফিস খোলা ও দেখাশুনা করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে ঘটনা একটি কিন্তু এনিয়ে বিভাগীয় তিন জনের তিন মন্তব্য সত্যিকার অর্থেই হতাশা জনক। এভাবে কী সরকারি কোন কার্যালয় সুষ্ঠু ভাবে চলতে পারে এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। ভিন্ন জনের ভিন্ন মুখি জবাব এটাই প্রমাণ করে যে কী অবস্থায় চলছে দুল্লভছড়া আইসিডিএস প্রকল্পের কর্ম সংস্কৃতি। বা কোন তিমিরে অবস্থান করছে প্রকল্পের আওতাধীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলো । সচেতন মহল এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।